| প্রথমে জেনে নেই ব্লগ কিংবা ভিডিও চ্যানেল হতে কি কি ভাবে ইনকাম করা যায়
প্রথম কাজ হচ্ছে ব্লগিং সাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং আস্থার জায়গাতে নিতে হবে। মানুষের কাছে যখন আগ্রহের স্থানে যাবে, তখনেই ব্লগটি থেকে ইনকামের পরিকল্পনা করতে পারবেন।
কি কিভাবে ইনকাম হতে পারে?
ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকামের পূর্ণাংগ গাইডলাইন - টিপস এন্ড ট্রিকস
♦ অ্যাডসেন্স ইনকাম: ব্লগের ট্রাফিক ভালো থাকলে এবং অন্য সকল রিকোয়ারমেন্ট ঠিকমত থাকলে গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লুভ হলে, সেখান হতে ইনকাম করতে পারেন। এ ইনকামটা মূলত নির্ভর করে আপনার ব্লগে কিংবা ইউটিউবে চ্যানেলে কিরকম ভিজিটর রয়েছে, তার উপর। তাই ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ৪র্থ পর্বের (গ) নং পর্বে কিভাবে ভিজিটর বাড়াবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
♦ সিপিএ ইনকাম: আপনার ব্লগে ভিজিটর থাকলে সিপিএ মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ নিশ সম্পর্কিত অফার নিয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রচুর পরিমান সিপিএ মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সব সিপিএ মার্কেটপ্লেসেই বিভিন্ন নিশের অফার রয়েছে। আপনার ব্লগে ভাল ভিজিটর থাকলে সেসব নিশের অফার প্রমোট করে ভাল ইনকাম করতে পারেন।
♦ অ্যাফিলিয়েশন ইনকাম: আপনার ব্লগের নিশ সম্পর্কিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েশন লিংক এ ব্লগের ভিজিটরদের কাছে প্রমোট করতে পারেন। ধরি, আপনার ব্লগটি ঘরের নিজের বাবুকে নিয়ে করেছেন। সেখানের ভিজিটর থাকবে, সাধারণত নতুন মা কিংবা অন্য মহিলারা। এ ভিজিটররা যখন আপনার ব্লগকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন তাদের কাছে শিশুদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট যেমন সেটা হতে পারে, বেবি ক্যারিয়ার কিংবা অন্য কোন খেলনা। এ জন্য কি করবেন?বিভিন্ন পোষ্টে হয়ত লিংক দিলেন কিংবা ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন। দেখবেন অ্যাফিলিয়েশনের ভাল ইনকাম করতে পারবেন।
♦নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি: ধরি, আপনার ব্লগটি শিশুদের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিস নিয়ে। তাহলে সেই ব্লগের ভিজিটরদের কাছে শিশুর বাবামায়ের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। শুধু বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দিলেই দেখবেন, ভাল অর্ডার পেয়ে যাবেন। এভাবে কোন সার্ভিসও সেল করতে পারবেন।
ব্লগ তৈরি করলেই সফল হওয়া যায়না, যত বেশি মানুষকে আপনার ব্লগের ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে পারবেন, তত বেশি ব্লগের সফলতা পাবেন। ব্লগের ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে হলে ব্লগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউনিক কনটেন্ট থাকতে হবে, তেমনি ব্লগে যে এ কনটেন্টগুলো রয়েছে, সেই ব্যাপারে অন্যদেরকে জানানোর জন্য মার্কেটিংটা জোর দিয়ে করতে হবে। ব্লগের ভাল মানের কনটেন্ট থাকলে ১ম দিকে নিজেকে মার্কেটিং করতে হলেও পরে দিয়ে নিজে মার্কেটিং করা কমিয়ে দেওয়া যায়। কারণ তখন পাঠকরাই মার্কেটিং করে দিবে। আর যদি কনটেন্ট ভাল না থাকে তাহলে সবসময়ই আপনাকে মার্কেটিংয়ের জন্য সমান কষ্ট করতে হবে। সুতরাং বুদ্ধিমান হলে কনটেন্ট তৈরিতেই বেশি পরিশ্রম করবেন, তাহলে প্রচুর আরাম করার সুযোগ পাবেন। আর বোকা হলে কনটেন্টে পরিশ্রম কম করবেন, ফলাফল মার্কেটিংয়ের জন্য সবসময়ই অমানসিক পরিশ্রম করে যাবেন, এক পযায়ে হতাশ হয়ে অফ করে দিবেন।
মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে হবে। সে ব্যাপারে বিস্তারিত এখানে জানাবো।
মার্কেটিং করার সময় দুটি বিষয় টার্গেট করে মার্কেটিং প্লান সাজাতে হবে।
১) কারও চোখের নজরে নিয়ে এসে ইন্টারেস্টেড করা
২) খোজ করছেন, পেয়ে গেল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার লেখা
ট্রাফিক আনার ১ম পদ্ধতি
১ম টার্গেটটি নিয়ে কথা বলি। আপনি কোন আর্টিকেল লিখলেন ব্লগে পোস্ট করলেন। এবার আর্টিকেলটি এখন শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতরা আপনার লিংক দেখে ইন্টারস্টেড হয়ে আপনার লিংকে ক্লিক করে ব্লগটিতে প্রবেশ করে পড়লো, এভাবে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন।
এরকমভাবে ট্রাফিক পেতে হলে কোন কোন মিডিয়াতে লিংক শেয়ার করতে পারেন, সেটি নিচে দিলাম।
১) সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকডিন, রেডিট, ইন্সটাগ্রাম
২) বিশেষায়িত সোশ্যাল মিডিয়া: ইমেজ বেস সোশ্যাল মিডিয়া: পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম
ভিডিও বেস সোশ্যালমিডিয়া: ইউটিউব
স্লাইডবেস সোশ্যালমিডিয়া: স্লাইডশেয়ার
ব্লগ টাইপ সোশ্যালমিডিয়া: থাম্বলার (tumblr), মিডিয়াম
৩) ব্লগিং: ওয়েব২.০ ব্লগ সাইট, গেস্ট ব্লগিং সাইট
৪) প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ক সাইট: quara.com, yahoo answer
উপরের সাইটগুলোতে নিয়মিত প্রচুর ভিজিটর থাকে, আড্ডা দেয়, জ্ঞান আহরণের জন্য যায়, ভাল লাগা, নেশার কারনে যায়। এসব সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের লিংক দিয়ে আসলে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়।
এসব সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল পেতে হলে নিচে টেকনিকগুলো মনে রাখুন:
১) মানুষের মনে বিরক্তি তৈরি না করে ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে লিংক শেয়ার করুন।
২) শুধুমাত্র নিজের প্রোফাইলের ওয়্যালে শেয়ারের মধ্যে লিমিট না থেকে ব্লগ কনটেন্ট রিলেটেড বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, এরকম গ্রুপগুলোতে গিয়ে লিংক শেয়ার করুন।
৩) আপনার প্রতিটা পোস্ট যদি ব্লগের লিংক শেয়ার করা হয়, সেক্ষেত্রে ভাল ট্রাফিক পাবেননা। ব্লগের লিংক ছাড়াও যে বিষয়ের লিখা শেয়ার করবেন, সেই রিলেটেড বিভিন্ন টিপস, ভিডিও, ইমেজ শেয়ার করুন। তাহলে আপনার ব্লগের লিংকের প্রতিও মানুষের আগ্রহ বেশি হবে।
৪) অন্যের পোষ্টগুলোতে মাঝে মাঝে ভ্যালু ক্রিয়েট করার মত টিউমেন্ট করুন। সুযোগ পেলে টিউমেন্টে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করুন।
৫) সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা ব্লগ রিলেটেড বিষয়ে ইনফ্লুয়েন্সার, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন, তাদের পোষ্টগুলোতে টিউমেন্ট করুন নিয়মিত। যদি আপনার কোন ব্লগ কনটেন্ট সেই ব্যক্তি পোষ্ট রিলেটেড হয়ে থাকে, তাহলে টিউমেন্টে ব্লগের লিংক শেয়ার করুন।
বেশি টিপস দিলে ভুলে যাবেন। এ পাঁচটি টিপস ভালভাবে অনুসরণ করুন। সফলতা পাবেন।
ট্রাফিক আনার ২য় পদ্ধতি
এবার ট্রাফিক আনার দ্বিতীয় টার্গেটটি নিয়ে কথা বলব। অর্থাৎ কারও হঠাৎ কোন একটা বিষয়ে জানার জন্য প্রয়োজন হলো তখন সে গুগলে সার্চ করে সেটি জানতে প্রয়োজনীয় কনটেন্ট খোজ করবেন। তখন যদি সেই বিষয়টি সম্পর্কিত আপনার কোন লেখা সে সার্চে পেয়ে যায়, তাহলে সেখান হতে প্রচুর ভিজিটর পাবেন। মূলত ব্লগের ৯০ |
|